ইন্টারনেট সেবার নামে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে আইএসপিএবি’র চলমান ইসি-কে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে সংস্কারবাদী ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। রবিবার সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক বরাবর এ বিষয়ে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে ২৫ জন সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যূত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধে সদস্যদের মতামত তোয়াক্কা না করে ইসি কমিটির প্রতি রাজনৈতিক অনুচরের ভূমিকা পালনের বিষয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে সাবেক আইসিটি ও টেলিকম মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সুরে সুর মিলিয়ে গণমাধ্যমে লাগাতার মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অংশ নিয়ে আইএসপিএবি’র সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
বাকি অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিএসটিএফ এর নামে চাঁদাবাজি, এফটিটিএক্স প্রকল্পে দুর্নীতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার নামে আর্থিক অনিয়ম, থানা ও উপজেলা আইএসপিদের স্বার্থ উপেক্ষা করে নোংরা রাজনীতি, ইজিএম ও ক্রয় কমিটি না করেই তহবিলের ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অফিস ফ্লোর কেনা এবং সর্বোপরী তৎকালীন হুইপ ও প্রভাবশালী নেতা নজরুল ইসলাম বাবুকে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকার দলীয়দের নিয়ে কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন।
এ বিষয়ে সংস্কারবাদীদের পক্ষে এডিএন টেলিকমের আজহারুল হক চৌধুরী বলেছেন, আজ বিকেলে আইএসপিএবি অফিসে আমরা চিঠি দিয়েছি। সেই হিসেবে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিঠির জবাব দিতে তারা সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।