সোমবার, নভেম্বর ১০, ২০২৫
 শিরোনাম
ডিএমপির ৫ এডিসিকে বদলি করা হয়েছে রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকলেন তারেক রহমান কক্সবাজার সৈকতের ভাঙন রোধে ৬২৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত সেবাগ্রহীতার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করলে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ শহীদ মিনারে তৃতীয় দিনেও চলছে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি হাজিরা দিতে এসে খুন হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জাতীয় ঈদগাহে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অতীতের কলঙ্ক ঘোচাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই: ইসি আনোয়ারুল চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে নিতে বিদেশি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন: নৌপরিবহন উপদেষ্টা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

লোডশেডিং কমে যাবে তিন সপ্তাহের মধ্যে : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

লোডশেডিং কমে যাবে তিন সপ্তাহের মধ্যে  : বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল বুধবার ফোরাম ফর জ্বালানি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) নির্বাহী কমিটির সাথে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, এক সাথে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যে কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। হঠাৎ করে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে রামপালের একটি ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে এই সঙ্কট সামাল দেয়া সহজ হতো। কিন্তু সামিট গ্রুপের এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) কয়েক মাস ধরে বিকল থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এলএনজি আমদানির কাজ চলছে, ১৫-২০ দিনের মতো সময় লাগবে। তারপর গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সঙ্কটের কারণে শুধু আমরা না, শিল্প, সার কারখানা সব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রামপাল দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। আমরা ধারণা করছি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, ১০ সেপ্টেম্বর তুলনায় আজকে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হয়েছে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের যে পাম্পটি বিকল্প হয়েছে, সেটি প্লেনে করে চীন থেকে আনা হচ্ছে। রোববারের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল ইউনিট দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিনিয়র সচিব বলেন, অন্যসময় হলে হয়তো আপনারা এটা আঁচ করতে পারতেন না। এখন গ্যাস সঙ্কটসহ অনেকগুলো ঘটনা একসাথে ঘটেছে, যে কারণে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গ্যাস থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতাম। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ৪৮০০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। সেখানে ২২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের পাওনা টাকা প্রসঙ্গে বলেন, এখানে অর্থের সঙ্কট নেই। আমরা সোনালী ব্যাংকে ১০০ মিলিয়ন টাকা দিয়ে দিয়েছি। তারা ডলারের অভাবে দিতে পারছে না। আমরা আরো টাকা দিতে পারি। আশা করি আদানির বিদ্যুৎ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।