চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসেই হার লেখা হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের কপালে। ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে ১৪৯ রানে গুঁটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে ৫১৫ রানের টার্গেট ছুড়ে ভারত। ম্যাচ জিততে রীতিমতো ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে।
সেটা যে সম্ভব নয়; তা এক রকম জানাই ছিল। প্রত্যাশা ছিল কেবলই লড়াইয়ের। সেই লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে ৬ উইকেট হাতে রেখে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ পার করতে পারেননি সকালের সেশনটাও। ম্যাচ হেরেছে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে ০-১ ব্যবধানে। সিরিজের শেষ টেস্ট ২৭ সেপ্টেম্বর।
চতুর্থ দিনে ৪ উইকেটে ১৫৮ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশকে এদিন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল সাকিব-শান্ত জুটি। মনে হচ্ছিল হারলেও অন্তত লড়াই করবে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি সাকিব ২৫ রানে সাজঘরের পথ ধরলে। খানিক পর ফিরে যান ফর্মে থাকা লিটন।
অশ্বিন-জাদেজার ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ভুল করে বসেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তখনও উইকেটে টিকে আছেন শান্ত। তবে মিরাজের পর আর টিকতে পারেননি তিনি। জাদেজার শিকার হয়ে ৮২ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৩৪ রানে।
এর আগে, ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করেছিল ভারত। শুভমান গিল এবং রিশাভ পান্তের জোড়া সেঞ্চুরিতে তারা বাংলাদেশের জন্য রানের পাহাড় তৈরি করে। ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন গিল, ১০৯ রান আসে ২১ মাস পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফেরা পান্ত। তাদের ব্যাটিং বীরত্বে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা।
১০৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১ ওভার বল করে ১২৯ রান খরচ করলেও কোনো উইকেট পাননি সাকিব আল হাসান।
রেকর্ড ৫১৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মন্দ হয়নি। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার। ৩৩ রানে জাকিরের উইকেট শিকার করেন জশপ্রীত বুমরাহ। ৩৫ রানে সাদমানকে সাজঘরের পথ চেনান অশ্বিন।
তিনে নেমে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অভিজ্ঞ মুশফিক-মুমিনুলরা তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। বাংলাদেশের চার উইকেটের তিনটিই ঝুলিতে পুরেছেন অশ্বিন। চতুর্থ দিনে আরও ৩ উইকেট তুলেন অশ্বিন। জাদেজা শিকার করেন ৩ উইকেট।