শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
 শিরোনাম
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শারীরিক অবস্থায় কোনো পরিবর্তন নেই খালেদা জিয়ার: এ জেড এম জাহিদ পোস্টাল ভোটে অংশ নিতে ৪ লাখ ৮৫ হাজার প্রবাসী ও সরকারি চাকরিজীবীর নিবন্ধন সংবিধান সংশোধনকে গণতান্ত্রিক সত্য হিসেবে মেনে নিতে হবে: প্রধান বিচারপতি দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিচ্ছন্ন বায়ু জরুরি: বিশ্বব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট দিবস আজ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে শতাধিক গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার টিভিতে নির্বাচনি প্রচারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ ইসির রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল চালিকাশক্তি ডিজিটাল রূপান্তর : তৈয়্যব

তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলার সাজা স্থগিত

তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলার সাজা স্থগিত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজাও স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।

তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের আদালতের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, দেশে জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবার জিয়া পরিবার। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপার্সন ও দেশের তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাদেরকে হেয় করতে এবং রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে এ মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দেয়া।

কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতে তারেক রহমান খালাস পেলেও উচ্চ আদালতে তাকে সাজা দেয়া হয়। এরূপ দৃষ্টান্ত বিচার ব্যবস্থায় বিরল। আমরা হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করি। আজ আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে পক্ষদ্বয়কে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্টের সাজাও স্থগিত করেছেন।

আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম।

অর্থ পাচারের অভিযোগে এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এটি ছিল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম সাজা। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

বিচারিক আদালতে এ মামলায় রায় প্রদানকারী বিচারক ছিলেন মোতাহার হোসেন। রায় দেয়ার পরপরই জীবন বাঁচাতে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পরে এ বিচারক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানান, তৎকালীন হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে ওই সময়ে আইন সচিব জহিরুল হক দুলালসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণ মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দিতে তাকে চাপ দেন এবং বিভিন্ন লোভের পাশাপাশি হুমকিও দেন। এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদনও গণমাধ্যম প্রচার হয়।