শনিবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
 শিরোনাম
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শারীরিক অবস্থায় কোনো পরিবর্তন নেই খালেদা জিয়ার: এ জেড এম জাহিদ পোস্টাল ভোটে অংশ নিতে ৪ লাখ ৮৫ হাজার প্রবাসী ও সরকারি চাকরিজীবীর নিবন্ধন সংবিধান সংশোধনকে গণতান্ত্রিক সত্য হিসেবে মেনে নিতে হবে: প্রধান বিচারপতি দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিচ্ছন্ন বায়ু জরুরি: বিশ্বব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট দিবস আজ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে শতাধিক গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার টিভিতে নির্বাচনি প্রচারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ ইসির রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল চালিকাশক্তি ডিজিটাল রূপান্তর : তৈয়্যব

এবারের বিজয় দিবস মহা আনন্দের : ড. ইউনূস

এবারের বিজয় দিবস মহা আনন্দের : ড. ইউনূস

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার বিদায় হওয়ায় এ বছরের বিজয় দিবস মহা আনন্দের বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষেজাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে আমাদের দোষে সম্পূর্ণতা দিতে পারিনি। সর্বশেষ এবং প্রচন্ডতম আঘাত হানলো এক স্বৈরাচারী সরকার। সে প্রতিজ্ঞা করেই বসেছিল এদেশের মঙ্গল হতে পারে এমন কিছুই সে অবশিষ্ট থাকতে দেবে না। এ বছরের বিজয় দিবস বিশেষ কারণে মহা আনন্দের দিন’।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাত্র চার মাস আগে একটি অসম্ভব সম্ভব হয়ে গেল, দেশের সবাই মিলে একজোটে হুংকার দিয়ে উঠলো, পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসককে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে আমাদের প্রিয় দেশকে মুক্ত করেছে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান। যে হাজার হাজার শহিদ এবং আহতদের আত্মত্যাগ এবং ছাত্র-জনতার অটুট ঐক্যের মাধ্যমে এই গণ-অভ্যুত্থান সম্ভব হলো তাদের সবাইকে স্মরণ করি এবং আজ এবারের মহা বিজয়ের দিনে সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ জাতির এক বিশেষ দিন। বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির বুক ফুলিয়ে দাঁড়াবার দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেক অস্ত্রকে অগ্রাহ্য করে খালি হাতে রুখে দাঁড়িয়ে সম্মুখ সমরে লড়াই করে নিজেদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উৎসবের দিন। এই দিনে স্মরণ করি লক্ষ লক্ষ শহিদদেরকে, অগণিত শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ জনতার আত্মত্যাগকে; যার ফলে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার তাগিদে ছাত্র জনতা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রক্ত দিয়ে চার মাস আগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল, সে ঐক্য এখনও পাথরের মতো মজবুত আছে। মাত্র কয়েক দিন আগে জাতি আবার গর্জে উঠে সমগ্র পৃথিবীকে সেকথা জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, যখন পরাজিত শক্তি নড়েচড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, সকল রাজনৈতিক দলের এবং সকল ধর্মের শীর্ষ ব্যক্তিদের এবং ছাত্রদের সমাবেশের মাধ্যমে এক কণ্ঠে সজোরে ঘোষণা দিয়েছিল, আমরা যে নিরেট ঐক্যের মাধ্যমে অভ্যুত্থান করেছি সেই ঐক্য আরও জোরদার হয়েছে। চার মাসের ব্যবধানে আমাদের ঐক্য কোথাও শিথিল হয়নি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংকল্পে আমরা অটুট আছি।

বহির্বিশ্বে চাতুর্যপূর্ণ প্রচারণা দিয়ে যারা আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তারা দূরত্ব সৃষ্টি তো করতে পারেইনি, বরং সারা জাতিকে সগৌরবে উচ্চকণ্ঠে তার ঐক্যকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে উজ্জীবিত করেছে।

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তিই লক্ষ্য অর্জন থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।