শনিবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
 শিরোনাম
ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় লাখো মানুষ অংশগ্রহণ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক সুদানে শহীদ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের লাশ দেশে ফিরেছে সংসদ ভবনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন হাদির জানাজাকে ঘিরে রাজধানীতে জোরদার নিরাপত্তা মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের ইন্তেকাল লন্ডনে ফিরে গেছেন জুবাইদা রহমান হোয়াটসঅ্যাপে সরাসরি অভিযোগ নেবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ওই আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাথায় নিরাপদ সড়কের বিষয়টি গেঁথে গিয়েছে। 

আজ শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ক জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন। 

সড়ক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিবহণ খাতে রাজনৈতিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব কাঠামোগত উন্নয়ন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, সেসব উন্নয়ন অর্থহীন। তাই, আমাদের মৌলিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রয়োজন।

সড়ক দুর্ঘটনাকে কাঠামোগত হত্যাকান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত দুর্বলতা অনেকাংশে দায়ী। 

পরিবহণ খাতে বহুমুখী সমস্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। 

এ সময়ে তথ্য উপদেষ্টা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবহণ খাত সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে সংলাপে জানানো হয়, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার মানুষ নিহত ও ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। 

সংলাপে আরও জানানো হয়, গণপরিবহণ ৫৩ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর ব্যক্তিগত যানবাহন ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে। অথচ ব্যক্তিগত যানবাহন ৭০ শতাংশ সড়ক দখল করে চলে। ৩০ শতাংশের কম জায়গায় চলে গণপরিবহণ। এটি সাধারণ মানুষের প্রতি চরম বৈষম্য। 

সংলাপের শুরুতে সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি আব্দুলাহ এম ফেরদৌস খান।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।