সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের রীতি অনুসরণে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামের মানুষ আজ থেকে রোজা রাখতে শুরু করেছেন। গ্রামগুলোর অধিকাংশ মুসল্লি শুক্রবার রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেছেন। আর ভোর রাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন।
মতলব উত্তর উপজেলার পাচআনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মুসুল্লিদের নিয়ে এশার নামাজ শেষে তারাবির নামাজ আদায় করছেন। তারপর ভোর রাতে সেহরি খেয়েছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলা মিলিয়ে ৪০ গ্রামে প্রায় শতাব্দী কাল ধরে এভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন হচ্ছে। এসব গ্রামের বাসিন্দারা সাদরা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাকের (রহ.) অনুসারী।
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রোজা ও ঈদ পালনের বিষয়টি চাঁদপুরে প্রথম প্রবর্তন করে প্রয়াত মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সালে নিজ গ্রামে এ রীতি চালু করেন তিনি। পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করছেন তারা।
