মঙ্গলবার, নভেম্বর ১১, ২০২৫
 শিরোনাম
ডিএমপির ৫ এডিসিকে বদলি করা হয়েছে রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকলেন তারেক রহমান কক্সবাজার সৈকতের ভাঙন রোধে ৬২৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত সেবাগ্রহীতার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করলে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ শহীদ মিনারে তৃতীয় দিনেও চলছে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি হাজিরা দিতে এসে খুন হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জাতীয় ঈদগাহে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অতীতের কলঙ্ক ঘোচাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই: ইসি আনোয়ারুল চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে নিতে বিদেশি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন: নৌপরিবহন উপদেষ্টা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। গণহত্যার অভিযোগে এই দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বিচার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।

সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগের ব্যানারে দলটিকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা হচ্ছে। আর সেনানিবাস থেকে তাদের কয়েকজনকে সেই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। এমন ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ হয়। আবারও সামনে আসে ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ইস্যু। শুক্রবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ শ্বিবিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে প্রথমে বিক্ষাভ মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। মধুর ক্যান্টিন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলপাড়া ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, যাদের হাতে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্ত লেগে আছে এ দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কেউ যদি তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করে পরিণতিও ভয়াবহ হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদল। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।’

মূলত এই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পরপরই ছাত্র-জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেন, ‘ড. ইউনূস, আওয়ামী লীগ ৫ আগস্টই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। উত্তরপাড়া ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ওপেন করার চেষ্টা করে লাভ নেই।’