ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নারী প্রতিনিধি ও দুই সমন্বয়ককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন, আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, সালমান হোসেন ও নাদিয়া আক্তার খুশি। ভুক্তভোগীদের দাবি, এ হামলায় জড়িত ফেনী কলেজ ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
আহত সালমান জানান, হাসপাতালে একজন রোগীকে দেখে ফিরছিলেন তারা। ওই সময় জিল্লুরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হামলাকারী ছাত্রদল নেতা জিল্লুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির খবর প্রকাশের পর এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এরপরও অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফেনীর প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়, তা আমরা দেখতে চাই। পুরোনো সহিংসতার সংস্কৃতি আমরা আর ফিরতে দেব না।’
অভিযোগের বিষয়ে জিল্লুর হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা নিজেদের মধ্যকার মারামারির ঘটনার দায় আমাদের ওপর চাপাচ্ছে।’
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল ফেনীর একটি স্থানীয় দৈনিকে জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর জিল্লুর ওই পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদককে কল দিয়ে হত্যার হুমকি দেন। চাঁদাবাজির ঘটনা ও সাংবাদিককে হত্যার হুমকির ঘটনায় গত ৪ মে জিল্লুরের ছাত্রদলের পদ স্থগিত করা হয়।
