শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
 শিরোনাম
১৯৭৫ সালের বিপ্লব ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হয়েছে: আসিফ মাহমুদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে দেশে পালিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুক্তি পেলো জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার নেত্রকোণায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো হাজংদের দেউলী উৎসব ভোটকেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানতে চেয়েছে ইসি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নবম দিনের শুনানি চলছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে ডুরান্ড লাইন সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে বসছেন ট্রাম্প বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা দেবে আয়ারল্যান্ড

ফিল্ম ফেয়ারে সেরা সিনেমা ‘টুয়েলভথ ফেল’

ফিল্ম ফেয়ারে সেরা সিনেমা ‘টুয়েলভথ ফেল’

৬৯তম ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে ‘টুয়েলভথ ফেল’। পুরস্কার হিসেবে ব্ল্যাক লেডি ট্রফি গ্রহণ করেন সিনেমাটির অভিনেতা বিক্রান্ত মেসি, মেধা শঙ্করসহ অভিনয় শিল্পীরা।

বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত এ সিনেমাটি ইউপিএসসি শিক্ষার্থীদের সংগ্রামের ওপর তৈরি। বাস্তবের আইপিএস অফিসার মনোজ কুমারের কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আইপিএস হয়ে ওঠার সত্যি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।

এছাড়া সেরা অভিনেতা পুরস্কারও জিতেছেন বিক্রান্ত মেসি। বিশ্ব জুড়ে এই ছবিটি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া অভিনেতাদের মধ্যে কমল হাসান, সঞ্জয় দত্ত, ঋষভ শেট্টি, ফারহান আখতারও এই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন।

টুয়েলভথ ফেল সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার সময় থেকেই সর্বমহলে চর্চা শুরু হয়। যেহেতু খুবই সীমিত সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমা দেখা যাচ্ছিল, ফলে বিশাল সংখ্যক মানুষ তা দেখতে পাননি। আর তাই ওটিটিতে আসার পরেই যেন এর জনপ্রিয়তা একবারে কয়েক ধাপ বেড়ে গেছে।

ভারতের আইপিএস কর্মকর্তা মনোজ শর্মা ও আইআরএস কর্মকর্তা শ্রদ্ধা জোশি দম্পতির জীবনের গল্প নিয়ে ২০১৯ সালে ‘টুয়েলভথ ফেল’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন দেশটির ঔপন্যাসিক অনুরাগ পাঠক। সেই উপন্যাস অবলম্বনে ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমা নির্মাণ করেন বিধু বিনোদ চোপড়া।

বাস্তব জীবনে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা সঙ্গী করে বেড়ে ওঠেন মনোজ। পরিবারকে সহযোগিতা করতে পড়াশোনার পাশাপাশি অটো রিকশাও চালাতেন তিনি। মাধ্যমিকে কোনোরকম পাস করলেও দ্বাদশ শ্রেণিতে হিন্দি ছাড়া সব বিষয়ে ফেল করেছিলেন তিনি। পরেরবার অনেক কষ্টে দ্বাদশ পাস করেন। 

এর মধ্যেই একবার এক পুলিশ কর্মকর্তা মনোজর অটোটি আটক করেন। পরে থানায় গিয়ে অটোটি ছাড়িয়ে আনতে যান তিনি। সেখানে একটি সাক্ষাৎ বদলে দেয় তার জীবনের প্রথম গতিপথ। কীভাবে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায়, কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় সবকিছু ওই আলোচনায় উঠে আসে। এরপর মনোজ স্বপ্ন বুনেন আইপিএস কর্মকর্তা হওয়ার।