শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
 শিরোনাম
ভোটকেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানতে চেয়েছে ইসি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নবম দিনের শুনানি চলছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে ডুরান্ড লাইন সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে বসছেন ট্রাম্প বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা দেবে আয়ারল্যান্ড প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: ১০,২১৯টি শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বাংলাদেশের প্রথম ‘ফরেস্ট মিউজিয়াম’ এখন লালমাই পাহাড়ে জামালপুরে কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৩৮ হাজার কৃষক জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪তম সভা সম্পন্ন

ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস

ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস

উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্‌যাপন করেছে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাস। এতে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা গাজি মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তুর্কি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার ১০২তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের পতন এবং মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর তুরস্কের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ঢাকা ও আঙ্কারার মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থের মিল রয়েছে এবং তুরস্ক বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি বাজার হিসেবে কাজ করছে। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতিফলন।

উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণ পারস্পরিক কল্যাণে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।

তিনি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে, বিশেষ করে সবুজ জ্বালানি উদ্যোগে তুরস্কের সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া, তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় তুরস্কের সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা এবং মানবিক ও উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দৃঢ় ও গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, উভয় দেশ এই সম্পর্ক আরো জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একটি বার্তা পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত।