ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া কাপড় জানালা দিয়ে আনতে গিয়ে বাইরে থাকা বিদ্যুতের লাইনের স্পর্শে রুমে থাকা মহিলা মাদ্রাসার ৭ শিক্ষার্থী ও এক আয়া দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় পৌরসভার ভাদুঘর এলাকায় অবস্থিত দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (৫) এবং মাদরাসার আয়ার দায়িত্বে থাকা ভাদুঘর এলাকার তুফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী আলেয়া (৩০)।
দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসার ক্বারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মাদরাসার চারতলা থেকে বাইরে একটি কাপড় পড়ে ছিল বিদ্যুতের তারের ওপর। সেখানকার দায়িত্বরত আয়া আলেয়া সেই কাপড়টি জানালা দিয়ে একটি স্টিলের লম্বা পাইপ দিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। লম্বা পাইপটি কাপড়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা বিদ্যুতের তার থেকে শক তার গায়ে লাগে। তখন বিদ্যুতের তার থেকে কাপড়ে আগুন ধরে রুমের ভেতরে থাকা ছাত্রীদের গায়ে লাগে। আহত শিক্ষার্থীদের সদর হাসপাতালের নিয়ে এসেছি। ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাচ্ছি। বাকি দুজনকেও ঢাকায় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, মাদ্রাসার ৮ জন ভর্তি হয়েছিলেন। তারা সবাই বার্ন পেশেন্ট। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আর দুজন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, খবর নিচ্ছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
