রবিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৫

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, থাকা-খাওয়ায় ভোগান্তি

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, থাকা-খাওয়ায় ভোগান্তি

পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকতের শহর কক্সবাজারে। ভরা পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটিতে কক্সবাজার লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের ধারণা, সৈকতে প্রায় লাখের অধিক পর্যটক এসেছে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। আগামী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের সব রুম পর্যটকে ভরপুর থাকবে।

এদিকে সকাল থেকে বেলা ১২টা অবধি দেখা যায়, হোটেলে রুম না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক পর্যটক বালিয়াড়িতেই অবস্থান করছেন, অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন সাগরতীরে। কেউ কেউ সড়কে পায়চারি করে সময় পার করছেন। তবে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন পর্যটকরা।

কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক মোহাম্মদ মির বলেন, সকালে বাস থেকে কলাতলীতে নামি। এরপর অনেক হোটেল খুঁজেও একটা রুম পাইনি। তবে একটি কটেজে রুম পেয়েছি সেটার দাম ৭ হাজার টাকা চায়। অথচ রুমের অবস্থা ভালো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খায়রুল আমিন বলেন, আমরা ৬ জন বন্ধু মিলে আসছিলাম। হোটেলে রুম না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের বাড়িতে উঠেছি।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলে কোনো রুম খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অধিনায়ক আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ তৎপর আছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।