যারা কম্পিউটার ব্যবহারে গড়পড়তা মানুষের চেয়ে একটু পারদর্শী, অর্থাৎ, যাদেরকে 'এডভান্সড ইউজার' বলা হয়ে থাকা, তারা সবাই ফ্যাট৩২ ফাইল সিস্টেমের বিষয়ে জানেন। প্রায় ৩০ বছর পর বদলাচ্ছে ফ্যাট৩২ ফাইল সিস্টেমের একটি ফিচার, যা একইসঙ্গে উইন্ডোজেরও সবচেয়ে পুরনো ফিচারের অন্যতম।উইন্ডোজ ৯৫ বাজারের আনার সময়য় এই অপারেটিং সিস্টেমে একটি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, যার ফলে একটি পার্টিশনের (সি ড্রাইভ, ডি ড্রাইভ, ইত্যাদি) আকার সর্বোচ্চ ৩২ গিগাবাইট হতে পারতো। 'ফাইল অ্যালোকেশন টেবিল' কে সংক্ষেপে ফ্যাট হিসেবে উল্লেখ করা হয়।উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে নতুন একটি আপডেট আসছে, যার ফলে কমান্ড লিখেই ফ্যাট ৩২ পার্টিশনের আকার বাড়িয়ে ২ টেরাবাইট করা যাবে। উইন্ডোজের লোকাল ড্রাইভ কেন ‘সি’ থেকে শুরু
মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ টিম একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, 'উইন্ডোজের কমান্ড প্রম্পটে ফরম্যাট কমান্ড ব্যবহার করে ফ্যাট৩২ পার্টিশন তৈরির এখন থেকে ড্রাইভের সর্বোচ্চ আকার ৩২ গিগাবাইট থেকে বাড়িয়ে ২ টেরাবাইট করা হয়েছে।'
উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমের ক্যানারি বিল্ডে এই আপডেট যোগ করা হবে বলে জানিয়েছে উইন্ডোজ টিম।
আপাতত শুধু কমান্ড লাইনের (ডস প্রম্পট) মাধ্যমেই এটি ব্যবহার করা যাবে। উইন্ডোজের ফরম্যাট ডায়লগ বক্সে আপাতত এই পরিবর্তন আসছে না
তবে পার্টিশন ২ গিগাবাইট হলেও এককভাবে ৪ গিগাবাইটের বেশি বড় ফাইল ফ্যাট৩২ সিস্টেমে এখনো লোড করা সম্ভব নয়। এ কারণে, পেন ড্রাইভে এক্স-ফ্যাট বা এনটিএফএস সিস্টেমে ফরম্যাট না করা হলে বড় ফাইল রাখা সম্ভব হয় না।
