বগুড়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মিলন মাহমুদকে মারপিট করে গুরুতর জখম ও পোশাক ছিঁড়ে ফেলায় এক ইজিবাইক চালক ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সদর ট্রাফিক ফাঁড়ির সার্জেন্ট রাকিবুল ওয়াদুদ এ মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহার নামীয় বাবা ও ছেলে ইজিবাইক চালককে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেফতার দুজন হলেন, বগুড়া সদরের চালিতাবাড়ি প্রামানিকপাড়ার মৃত আজিজার রহমান প্রামানিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম প্রামানিক (৪৯) ও তার ছেলে ইজিবাইক চালক রিমন প্রামানিক ইমন (২২)।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জিয়াউল ইসলামের নেতৃত্বে সার্জেন্ট রাকিবুল ওয়াদুদ, কনস্টেবল মিলন মাহমুদ ও অন্য সদস্যরা শহরের সাতমাথা এলাকায় যানবাহন ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ডিউটি পালন করছিলেন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে কনস্টেবল মিলন মাহমুদ সাতমাথায় এলজি শোরুমের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবৈধভাবে পার্কিং করা সরকার অননুমোদিত ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলো সরিয়ে দিচ্ছিলেন।
এ সময় আসামি রিমন প্রামানিক ইমন সেখানে তার অননুমোদিত ইজিবাইক রেখে যানজটের সৃষ্টি করেন। কনস্টেবল মিলন মাহমুদ তাকে ইজিবাইক সরিয়ে নিতে বললে চালক ইমন ক্ষিপ্ত হন। তিনি কনস্টেবল মিলন মাহমুদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
নিষেধ করলে আসামি ইমন বলেন, ‘আমি এখানে থেকে যাত্রী উঠাবো পারলে সরিয়ে দে’। আবারো ইজিবাইক সরিয়ে নিতে বললে রিমন প্রামানিক ইমন ও তার বাবা সাইদুল ইসলাম প্রামানিক উত্তেজিত হয়ে ট্রাফিক কনস্টেবল মিলন মাহমুদকে এলোপাথাড়ি কিলঘুসি ও লাথি দেন। এতে তিনি বাম হাত, বাম হাঁটুর নিচে ও বাম কাঁধে গুরুতর আঘাত পান। এক পর্যায়ে তারা কনস্টেবল মিলন মাহমুদের পোশাকের বোতাম ছিঁড়ে ফেলেন ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।
এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে এসে ইমন ও তার বাবা সাইদুলকে আটক করেন। তাদের কবল থেকে উদ্ধার করা কনস্টেবল মিলন মাহমুদকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে সার্জেন্ট রাকিবুল ওয়াদুদ সদর থানায় তাদের সোপর্দ ও মামলা করেন।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান শাহিন জানান, কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবলকে মারপিট ও হুমকি দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার বাবা ও ছেলেকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
