রবিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

ঢাবি আরবি বিভাগের ২ শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট

ঢাবি আরবি বিভাগের ২ শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ সালমান ও মো. জুনায়েদের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাবির আরবি বিভাগে চারটি প্রভাষক পদের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। রিটকারীরা সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব নিয়ম মেনে আবেদন করেন। আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মনোনীত সিলেকশন বোর্ড ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর তাদের ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু রিটকারীরা তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় তৎকালীন ছাত্রলীগের মিছিল ও বাধার মুখে যোগদান করতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট বোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর আর্টিকেল ২৩(২) অমান্য করে মনোনয়ন বোর্ডের ওই সুপারিশ ও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন, যা সংবিধান পরিপন্থি। পরবর্তী সময়ে রিটকারীরা তাদের নিয়োগ না দেয়ার কারণ জানতে চাইলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি তৎকালীন ঢাবি প্রশাসন এবং কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। এমনকি তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তারা তাদের নিয়োগ দেয়ার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শ ও তামিরুল মিল্লাতের ছাত্র হওয়ায় তাদের নিয়োগ পেতে বাধা দেয়া হয় বলে আদালতকে অবহিত করেন রিটকারীর আইনজীবী এডভোকেট আরিফুর রহমান আরিফ।