সোমবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা সওজের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল এখনো বহাল তবিয়তে

বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা সওজের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল এখনো বহাল তবিয়তে

ছাত্র জনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। এ কারণে সরকারের প্রায় সব দপ্তরে সংস্কার কাজ চললেও সড়কে চলছে লোক দেখানো পদায়ন ও আওয়ামী পুনর্বাসন। অথচ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সর্বনিম্ন ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে ৯ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া সওজের উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। টিআইবি'র এমন প্রতিবেদনের পরেও সড়ক প্রধানের বহাল তবিয়তে থাকাটা সড়কের বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে তার ক্ষমতার উৎস নিয়ে।

সড়ক প্রধান মঈনুল শুধু বহাল তবিয়তেই নেই। বরং অভিযোগ রয়েছে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দোসর দুর্ণিতিবাজ কর্মকর্তাদের পুনর্বাসনে। আওয়ামীপন্থীদের পুরস্কারস্বরূপ গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে নতুন উপদেষ্টা-সচিবের চোখে ধুলো দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন সংস্কার বলে।

এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে এই সৈয়দ মঈনুল হাসান ১৮তম বিসিএসে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৫ জানুয়ারী ১৯৯৯ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের চলমান সদস্য। আইইবি-২০২২-২৩ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের (সবুর-মঞ্জুর প্যানেল) শেখ হাসিনার মতই বিনাভোটে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছিলেন কাউন্সিল মেম্বার (আইইবি মেম্বার নং-১৪৫৫০)। সেসময় তার ব্যালট নম্বর ছিল ১২১। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত সড়ক কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাও ছিলেন সওজের এই প্রধান প্রকৌশলী। স্বযাচিত হয়ে কর্মকর্তাদের বহর নিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন। অভিযোগ রয়েছে পলাতক সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চাটুকারিতা ও কারনে-অকারনে শেখ মজিবের বিভিন্ন প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেই সিরিয়ালের দোহাই দিয়ে তিনি আজ প্রধান প্রকৌশলী।

জানা যায়, তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মঈনুল হাসানের আপন চাচাতো ভাই শামসুল আলম কচি মলিস্নকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি এবং নড়াইল জেলা পরিষদের আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সদস্য। সাধারণ ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শেষ করলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোট দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় কিনে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেন তিনি।

মঈনুল হাসানের ভাগ্নে সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মুনতাসির হাফিজ সড়ক ডিপেস্নামা প্রকৌশলী সমিতির আওয়ামী প্যানেলের দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি। এর আগেও ছিলেন একই সমিতির পর পর দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ রয়েছে সড়ক নিয়ন্ত্রনের জন্যই মঈনুলের বিশেষ হস্তক্ষেপে মুনতাসিরের উত্থান হয়। মধ্যমসারির যেকোনো কর্মকর্তার পদায়ন বা বদলিতে মঈনুলের ভাগ্নে মুনতাসিরের আর্শিবাদপুষ্ট হতে হতো। বদলি কিংবা পদায়নে আর্থিক লেনদেনের মূল দায়িত্বে থাকতো মুনতাসির। বিরোধী মতাদর্শের মধ্যমসারির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শায়েস্তা করতে মুনতাসিরের ছক অনুযায়ী করা হতো ওএসডি কিংবা শাস্তিমূলক বদলি। মুনতাসিরের একক দৌরাত্মে ঢাকা সড়ক জোন পরিনত হয় 'মামাভাগ্নে জোনে'। মঈনুল-মুনতাসিরের সরাসরি নেতৃত্বে সড়ক ডিপ্লোমা সমিতির ব্যানারে চলতো লোক দেখানো দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের নামে দেশব্যাপী শেখ হাসিনা বন্দনা ও প্রচারণা।

ট্রেইনিংয়ের নামে অর্থপাচারে ৩০ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয় বিদেশে

গত ৫ আগস্টের পর ট্রেইনিং ও উচ্চশিক্ষার নামে বিভিন্ন মেয়াদে ৩০ কর্মকর্তার বিদেশ গমনের অনুমোদন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সড়ক সূত্রের তথ্যমতে, মূলত সরাসরি প্রধান প্রকৌশলী মঈনের তত্ত্বাবধানে এই ৩০ জন আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তার মাধ্যমেই শেখ পরিবার ও ওবায়দুল কাদেরের বিপুল অবৈধ অর্থ ইতোমধ্যেই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। অর্থপাচারের সরাসরি যুক্ত ছিলেন মঈনুল হাসান। এজন্যই সড়কের একজন নিয়মিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরেও আওয়ামী বিশেষ মহলের সরাসরি হস্তক্ষেপে তাকে চাকুরিজীবনের অধিকাংশ সময় ডেপুটেশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়। সংযুক্ত করা হয় মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এর ডিরেক্টর পদে। এরপর তাকে পোস্টিং করা হয় রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর পদে। আওয়ামী সরকারের অর্থপাচার আরও নির্বিঘ্ন ও ত্বরান্বিত করতে তার সঙ্গে পরবর্তীতে যুক্ত করা হয় তারই স্ত্রী ফেরদৌসী শাহরিয়ারকে। ফেরদৌসী শাহরিয়ারও ছিলেন বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি দীর্ঘদিন ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেপুটি চিপ অফ মিশন হিসেবে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। কোনো সরকারের বিশেষ নেকনজর ছাড়া আমেরিকার মতো দেশের দূতাবাসে ডেপুটি চিপ অফ মিশন হিসাবে কর্মরত থাকার সুযোগ নেই। তৎকালীন সরকারের সময় তাকে আমেরিকার নানা সভা, সেমিনার ও অনুষ্ঠানে আওয়ামী তথা শেখ হাসিনা বন্দনার বক্তব্য দিতেও দেখা যায়।

সূত্র জানায়, আলোচিত প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল ওরফে মঈনের গ্রামের বাড়ী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মলিস্নকপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে পাওয়া যায় আরো বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. ফেরদৌস রহমান বলেন, 'উনি যেহেতু সরকারি দল করেছেন, সরকারি দলের নেতা হিসেবে ওনার সবসময়ই নড়াইল জেলায় দাপট ছিলো। উনি অর্থশালী মানুষ, উনাদের বহুবিধ ব্যবসা আছে। জেলার প্রায় সবাই জানে মঈনের পুরো পরিবার এলাকায় সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত।

উনার এক চাচাতো ভাই হাইকোর্টে কর্মরত ছিলো, তখন হামলা-মামলা, তদবির, দালালী করে বহু টাকা জোগাড় করেছে। ঢাকার গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় তার একাধিক আবাসিক হোটেল ব্যবসা আছে। যেখানে বারসহ নারীঘটিত ঘটনা ঘটে। আবার মঈনুল সাহেব সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

উনি এখন চিফ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি প্রচুর অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন, যা উনি উনার ভাইদের পিছনে বিনিয়োগ করেন। উনার ভাই (কচি) বিগত সময়ে জেলা পরিষদের কাউন্সিলর নির্বাচনে দেড় কোটি টাকা ব্যয় করেও পরাজিত হন। এবার উনি (কচি) উনার নিজের মুখের বক্তব্য অনুযায়ী প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করে জয়ী হন। একেকটা ভোট উনি দুই লক্ষ টাকা করে কিনেছেন। উনি (কচি) একজন ব্যাংকার মানুষ ছিলেন। এই পরিমান টাকার উৎস কোথায়? এটা আসলেই কঠিন ব্যাপার। উনার ভাই মঈনুল হাসানই মূলত এই অর্থায়ন করেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা সবই উনারা করতো। উনার বিরুদ্ধে পাঁচুড়িয়ার মানুষ ভয়ে কথা বলতে চাইতো না। কথা বললে নাশকতার মামলা হবে এমন ভীতি মানুষের মাঝে কাজ করতো।'

একই ইউনিয়নের (মলিস্নকপুর) বিএনপির সভাপতি মো. খিজির আহমেদ বলেন, 'উনার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতনের সাথে জড়িত। এখানে আওয়ামী রাজনীতির মূল অর্থদাতাই সড়কের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল হাসান। তার ভাই যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে, সব তো টাকার বিনিময়ে।'

অভিযোগ আছে আওয়ামী লীগ আমলে বিগত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে শুদ্ধি অভিযানের নামে কালো তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাগিয়ে নেন ঠিকাদারদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা। যে-সব ঠিকাদার মঈনুলের চাহিদা মত ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানায়,তাদের উপর নেমে আসে কাল তালিকাভুক্তির খরঘ। ঘুষের অঙ্কের তারতম্যভেদে একেক ঠিকাদারকে করা হয় একেক মেয়াদে কালো তালিকাভুক্তি। বিস্তর অনিয়মের প্রমাণ থাকার পরেও টাকার বিনিময়ে রেহাই পেয়ে যায় রাঘববোয়ালরা । উল্টো তার বলয়ের কিছু সাংবাদিক দিয়ে আওয়ামী লীগ আমলে যে-সব ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের বিভিন্ন মিডিয়ায়র মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা হয় রাঘব বোয়াল হিসেবে।

এ বিপুল টাকার একটি অংশ সরাসরি তুলে দেওয়া হয় ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন নেসা কাদেরের হাতে। বাকি টাকা সরাসরি চলে যায় নিজস্ব বলয়ের কিছু অফিসার,সাংবাদিক, ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী ও খুনের মামলার আসামি মতিন, তৎকালীন আওয়ামী পন্থি অ্যাটর্নি জেনারেল ও তার নিজ পকেটে। সরজমিন অনুসন্ধানে পাওয়া যায় এই টাকার একটি অংশে নড়াইল লোহাগাড়া উপজেলা পাইলট স্কুল সংলগ্ন লোহাগড়া পোস্ট অফিসের পাশে নির্মিত হচ্ছে সড়কের কথিত সজ্জন মঈনুলের বিলাসবহুল ৮ তলা ভবন । ইতি মধ্যেই আট তালা ভবনের প্রায় তিনতলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রয়েছে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও বোনদের নামে শত শত বিঘা জমি। সূত্র মতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যম তার আত্মীয়-স্বজনের আয়ের উৎস ও সম্পত্তির হিসাবের জন্য নড়াইল স্থানীয় ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই মঈনুলই আবার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় বিভিন্ন মহলে আওয়ামী পন্থি সওজের কর্মকর্তাদের লিস্ট দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সড়ক উপদেষ্টা ও সচিবের চোখে ধুলো দিয়ে তার নিজস্ব বলয়ের  সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করছে কিছু ঠিকাদার ও কর্মকর্তাকে আওয়ামীপন্থি হিসেবে। এ কাজে তাকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছে তার দীর্ঘদিনের স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম ও অত্যন্ত আস্থাভাজন নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়কের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী রসিকতা করে বলেন আমাদের চিফ স্যারের খুঁটির জোর হচ্ছে তার চাটুকারিতা মিথ্যা ও সততার লেবাচ। নিজস্বার্থে তাকে যদি বলা হয় তার এক হাত দিয়ে আরেক হাত কেটে ফেলতে,তাও তিনি নির্দ্বিধায় কেটে ফেলতে পারবেন। আর ঠিকাদাররা তো কোন না কোন দলের সাপোর্টার হবেই। কিন্তু তারা যদি সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকত কিংবা আওয়ামী প্রভাব বিস্তার বা লি জোর বৃত্তির  যদি তাদের ক্ষমতা থাকতো, তাহলে আওয়ামী লীগ আমলে কীভাবে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়? আর কালোতালিকাভুক্তই যদি করার হয় সেক্ষেত্রে তাদের যদি আওয়ামীলীগে কোনো প্রভাবই থাকতো, তাহলে তারা কিন্তু এর প্রতিকারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন না হয়ে সরাসরি বিভিন্ন লিয়াজু  বা তদবিরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমেই তা সমাধান করতে পারত। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগ আমলেই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। আমি বুঝি না সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এই সহজ অঙ্কটা কবে বুঝবে ? এ অঙ্কটা বুঝলেই তো বুঝা যায় এই মঈনুল কত বড় বাটপাড়। এখনো সে বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা আর পুনর্বাসন করেছে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের।