রবিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৫

দুদক-এর এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের তিন অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ

দুদক-এর এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের তিন অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট মঙ্গলবার দেশের তিনটি স্থানে পৃথক অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন প্রমাণ পেয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের “লাইভস্টক ও ডেইরী ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট”- এ দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে দুদক-এর প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। 

টিম প্রজেক্ট অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। 

এ সময় জানা যায়, প্রকল্পের সাবেক পরিচালক অবসরে গেছেন। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত নথি ও প্রমাণাদিও চাওয়া হয়েছে। 

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।

অপরদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমি রেজিস্ট্রির কাজে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদক-এর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে উপস্থিত সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মেলে যে, দলিল রেজিস্ট্রেশনের দিন সাব-রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগসাজশে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেন। তবে অভিযানের সময় কোনো দালিলিক প্রমাণ মেলেনি। এ ঘটনায় সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে, বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।

এছাড়া সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও রোগীদের হয়রানির অভিযোগে দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, রোগীদের যথাসময়ে খাবার সরবরাহ করা হয় না এবং সরবরাহকৃত খাবারের মান নিম্নমানের। 

পর্যাপ্ত সরকারি ওষুধ মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের স্বাস্থ্য কম্পেক্সের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া ওষুধ সমহারে বিতরণও করা হয় না। 

হাসপাতালের কিছু স্টাফের অনিয়মও ধরা পড়ে। বিশেষ করে, একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করছেন এবং লগবই যথাযথভাবে হালনাগাদ করেননি। 

এসব কর্মকাণ্ড রোগীদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। 

এ অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।