সোমবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
 শিরোনাম
বিশেষ সুরক্ষা দেওয়া হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া যোদ্ধাদের ১৪ ডিসেম্বর বিচারাঙ্গনে বিদায়ী বক্তব্য রাখবেন প্রধান বিচারপতি বিজয় দিবস উদযাপনে তিন বাহিনীর সমন্বয়ে ফ্লাইপাস্ট-প্যারাজাম্প বিজয় দিবস পালন নিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া নির্দেশনা ৫ মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুটি মৃদু ভূমিকম্প জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ সন্ধ্যায় নির্বাচনী শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রস্তাব ইসির বিজয় দিবস উদযাপনের আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ নিষিদ্ধ বিয়ে ও তালাকের ডিজিটাল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ হাইকোর্টের দূষণ রোধে বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক চুক্তির দাবিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান

শরিকদের আসন ছাড় নিয়ে যা ভাবছে জামায়াত

শরিকদের আসন ছাড় নিয়ে যা ভাবছে জামায়াত

সবকিছু ঠিক থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছে। সবার আগে ৩০০ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে চমক দেখায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। চলতি বছরের শুরুতেই দলটি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে নির্বাচনি মাঠে নিজেদের অবস্থান বেশ ভালোভাবেই জানান দেয়। তালিকা প্রকাশের পর প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায়, মাঠেঘাটে, সাধারণ মানুষের পাশে তাদের সুখে-দুঃখে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। সংগঠিত দল হিসাবে সব আসনেই এখন পর্যন্ত জামায়াতের একক প্রার্থী। 

এদিকে ৭ দলের শরিকদের জন্য আসন ছাড় এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চায় জামায়াত। এর অংশ হিসাবে প্রার্থী তালিকায় যে পরিবর্তন আসছে, সেটি চূড়ান্ত করার পর জেলা ও তৃণমূলের নির্বাচনি কমিটিতেও আসবে পরিবর্তন। এক্ষেত্রে শরিকদের দলীয় সিদ্ধান্ত এবং প্রার্থীদের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

জামায়াত সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর থেকেই জামায়াত দেশকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেয়। ৫ আগস্ট-পরবর্তী ২-৩ দিন দেশে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল, জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেসময় শহর, বন্দর, গ্রাম এবং এলাকা-এলাকায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দেশের মানুষের পাশে ছিলেন। 

জানা যায়, দলটি জুলাই শহীদদের পরিবার এবং আহতের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে থাকে। এ লক্ষ্যে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহকে সেক্রেটারি করে ৮ সদস্যের একটি নির্বাচনি কমিটি গঠন করা হয়। 

কমিটির বাকি সদস্য হলেন—নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রব, মোহম্মদ মোবারক হোসাইন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত। এ কমিটি গঠনের পরপরই সারা দেশের সব মহানগর ও জেলায় নির্বাচনি কমিটি গঠন করা হয়।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ রোববার যুগান্তরকে বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে আগে গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করাসহ ৫ দফা দাবিতে সমমনা ৭টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আছে জামায়াত। শরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় আসন ছাড়বে জামায়াত। এছাড়া মহিলা, অমুসলিম, জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। জামায়াতের নির্বাচনি টিম বর্তমানে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছে। সেক্ষেত্রে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং ভোটকেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনি কমিটি এবং এজেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের পূর্বঘোষিত প্রার্থীদের ঘিরে তৃণমূল পর্যন্ত যে কমিটি হয়েছে, তারা এখন রাতদিন কাজ করছেন।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের রোববার যুগান্তরকে বলেন, জামায়াত যেমন সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তেমনই প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মীরা সারা দেশে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্রভিত্তিক পোলিং এজেন্টও ঠিক করে ফেলেছে জামায়াত। এজেন্টদের একদফা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় জেলায় এজেন্ট প্রশিক্ষণ এখনো চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, শরিকদের জন্য আসন ছাড়লে সেখানে কিছু পরিবর্তন আসবে।