বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ধর্মের নামে রাষ্ট্রকে বিভাজন করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি ধর্মে বিশ্বাসী দল। তবে ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্রকে বিভাজন করাকে সমর্থন করে না।’
আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি’র ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে দলটির মহাসচিব এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি’র মহাসচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাস করবে। বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও সহাবস্থানের রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তিও ছিল সবার বাংলাদেশ। তাইতো আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্লোগান দিয়েছেন— ‘সবার আগে বাংলাদেশ’। এই স্লোগান ধরে সব ধরনের অপপ্রয়াসকে পরাজিত করে, বিএনপিকেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। বিএনপিকে নেগেটিভ পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। এটা ভেঙে দিতে হবে। সাইবার ওয়ারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে একমাত্র বিএনপিই দেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রতে পরিণত করবে।’
দেশের সব ভলো অর্জনগুলো বিএনপি’র হাত ধরে এসেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, সেখানে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এই পরিকল্পনাই প্রমাণ করে যে বিএনপির সব সময়ই একটি ‘এ্যাডভান্স পলিটিক্যাল পার্টি’।
তিনি আরও বলেন, নতুন যা কিছু আছে, তার সব বিএনপিই সবার আগে সামনে নিয়ে আসে। রাষ্ট্রের সংস্কারের রূপরেখাও ৩১ দফার মাধ্যমে বিএনপি সবার সামনে তুলে ধরেছিলো।
বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে একদলীয় গণতন্ত্র থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি’র যে ৩১ দফা, সেটাকে তোমরা সেইভাবে গ্রামে নিয়ে যেতে পারোনি। আমি যখন গ্রামে যাই, তখন সেটা দেখিনি। তাই ছাত্রদলকে বলবো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তোমাদের কমিটি বল বা প্রচারণা, সেটাকে বাড়াতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সবাই ভারাক্রান্ত। দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান নিজেই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। এতো মানুষের প্রার্থনা স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন।