তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বৃষ্টির দেখা মেলে চুয়াডাঙ্গায়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি নামে এ জেলায়।
বৃষ্টির পর রাতে স্বস্তি নামলেও সকাল বেলা থেকে উষ্ণতা বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের উত্তাপ বাড়তে থাকে। বাড়ে তাপমাত্রার পারদও। বুধবার এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এ তাপদাহ নিয়ে আপাতত সুখবর নেই। তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মানুষ। গত দুদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে আরও ২ ডিগ্রি। এতে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ বিকেল ৩টায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, যদিও গতরাতে বৃষ্টিপাত হয়। ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে এক-দেড় ঘণ্টা আগে ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে। সেদিন তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত বছর ২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৫ ও ২২ এপ্রিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
