মসজিদে নববির সবচেয়ে কাছে যে কয়েকটি মসজিদ রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম মসজিদ আল-গামামা। এই মসজিদকে মসজিদ আল-মুসল্লাও বলা হয়। আরবি গামামা শব্দের অর্থ মেঘমালা। একবার অনাবৃষ্টির সময় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে এই মসজিদের স্থানে খোলা ময়দানে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছিলেন। নামাজের পর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ স্থানটি মহানবী (সা.)-এর ঈদগাহ ময়দান হিসেবেও বিখ্যাত ছিল। এখানেই দ্বিতীয় হিজরি থেকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি দুই ঈদের নামাজ আদায় করেন। অনেক দিন পরে মহানবী (সা.)-এর এই পবিত্র স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
মসজিদটি আরও একটি কারণে বিখ্যাত। তা হলো, তৎকালীন আবিসিনিয়ার বাদশাহ নাজ্জাশির মৃত্যুর পর মহানবী (সা.) এই স্থানে তাঁর গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। চিঠির মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর ধর্মের দাওয়াত পেয়ে বাদশাহ নাজ্জাশি খ্রিষ্টধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। বর্তমানে মসজিদে নববির ব্যাপক সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে এটি মসজিদে নববির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে। মসজিদে নববির ৬ নম্বর গেট দিয়ে বের হলেই সামনে পড়ে মসজিদ আল-গামামা। এই মসজিদের বর্তমান কাঠামো ১৮৬৯ সালে তুর্কি শাসনামলে ঐতিহ্যবাহী তুর্কি স্থাপত্যশৈলীর অনুসরণে তৈরি।
