ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১৯৪১ সালে কিয়েভের নিকটবর্তী বাবিন ইয়ার উপত্যকায় নাৎসি বাহিনী কর্তৃক ৩০ হাজারেরও বেশি ইহুদি গণহত্যার ৮৩তম বার্ষিকী পালন করেছেন।
কিয়েভ থেকে এএফপি জানায়, এটি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউক্রেনের ইহুদি জনগণের ওপর জার্মান এবং তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সবচেয়ে বড় গণহত্যা।
জেলেনস্কি তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ লিখেন, বাবিন ইয়ার একটি ভয়ঙ্কর উদাহরণ, যাতে দেখা যায় সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ যখন বিশ্বের, নীরব থাকা, উদাসীন থাকা এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্পের অভাব।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ইউক্রেনের নাৎসি দখলের সময় ১৯৪১ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে বেবিন ইয়ারে - ইহুদি জনগণ, রোমা জনগণ, সোভিয়েত যুদ্ধবন্দী এবং অন্যান্য ইউক্রেনীয়সহ ১ থেকে দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নির্দেশ দেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ¬াদিমির পুতিনের প্রতি ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার ওপর নির্ভরশীল নেতাদের নেতৃত্বে শাসকরা যে নৃশংসতা চালাতে পারে তার স্পষ্ট প্রমাণ বাবিন ইয়ার।
তারা সব সময় একই। তবুও বিশ্বের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হওয়া উচিত। এটি বিশ্বের শেখা উচিত ছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উভয় পক্ষের কয়েক হাজার সৈন্য ও বেসামরিক লোক মারা গেছে, লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ দেশটিতে নির্বিচারে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ইহুদি সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিল।
ইউক্রেনের ইতিহাসে ইহুদিদের ওপর এটিই প্রথম গণহত্যা নয়, এর আগেও ইহুদি-বিদ্বেষী গণহত্যা দেখা গেছে।
বাবিন ইয়ার সাইটে ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গণহত্যায় নিহত ‘সোভিয়েত নাগরিক এবং যুদ্ধবন্দীদের’ স্মরণে একটি স্মৃতিস্মৃস্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল, তবে সেখানে ইহুদি গণহত্যার কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ নেই।