বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৫
 শিরোনাম
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানমালা পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে প্রকৃতি প্রস্তুত বসন্তের আগমনে, প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে দশ মিনিটে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে পাসপোর্টে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রাথমিকের ৬৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিএনপি ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইল প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন পুলিশ সংস্কার কমিশনের ভিকটিম ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের সুপারিশ আনসার বাহিনী রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোববার গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে

রোববার গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে

গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ইসরাইলের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর এই চুক্তি কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই চুক্তির ফলে গাজায় লড়াই বন্ধ হবে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাড়বে এবং বন্দীরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তির অনেক বিষয় চূড়ান্ত করার আগে আরো কাজ বাকি আছে। এই চুক্তিতে জোর দেয়ার জন্য তিনি জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।

হামাস নেতা খলিল আল হাইয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ‘প্রতিরোধের’ ফসল এই চুক্তি।

তিন ধাপের এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে বন্দি বন্দীদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত।

যদিও এখনো গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর ইসরাইলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে হামাসের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।

চুক্তি কার্যকর হবে তিন ধাপে
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামাসের হাতে আটক ৩৩ বন্দীর মুক্তির পরিবর্তে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হবে।

গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী আরো পূর্ব দিকে সরে যাবে। এল ফলে বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এছাড়া ত্রাণবাহিনী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দীদের মুক্তি এবং ‘টেকসই শান্তির’ জন্য ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি।

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দী থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।

শেখ মোহাম্মদ আল থানি বলেন, চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সবিস্তারে জানানো হবে।

তিনি আরো জানান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর এই চুক্তি করার বিষয়ে সহায়তা করেছে এবং তারা ইসরাইল ও হামাস যেন চুক্তির সব শর্ত মেনে চলে, সেজন্যও তারা সচেষ্ট থাকবে।