শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
 শিরোনাম
১৯৭৫ সালের বিপ্লব ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হয়েছে: আসিফ মাহমুদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে দেশে পালিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুক্তি পেলো জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার নেত্রকোণায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো হাজংদের দেউলী উৎসব ভোটকেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানতে চেয়েছে ইসি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নবম দিনের শুনানি চলছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে ডুরান্ড লাইন সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে বসছেন ট্রাম্প বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা দেবে আয়ারল্যান্ড

হাইকোর্টে ধরা পড়ল মিথ্যা, অবশেষে ফাঁসছেন জ্যাকলিন

হাইকোর্টে ধরা পড়ল মিথ্যা, অবশেষে ফাঁসছেন জ্যাকলিন

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমের গল্প পুরনো। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সুকেশ এখন দিল্লির মাণ্ডোলি জেলে বন্দি। আর অভিনেত্রী জ্যাকুলিনের নামের চলছে মামলা। জারি রয়েছে লুকআউট নোটিশও। এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও প্রমাণাদি দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

আদালতকে ইডি জানিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন। সুকেশের সঙ্গে জেনেশুনে প্রতারণায় সামিল হয়েছেন ও করেছেন। 

ইডি আরও জানিয়েছে, ‘জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটিও একটি সত্য যে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। যা প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তার সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।’

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনার দিন আদালতে গিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। সুকেশের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে জারি হওয়া এফআইআরটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। মামলাটি বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির সামনে উঠেছিল। আপাতত অভিনেত্রীর আইনজীবী ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

ইডির হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য জ্যাকুলিনকে সময় দিয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে ১৫ এপ্রিল।

হলফনামায় ইডি জানিয়েছে, অভিনেত্রী সুকেশের থেকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৪২ টাকার শুধু উপহারই নেননি, সঙ্গে দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, যা তার ভাই ও বোনের, সেখানেও ১ লাখ ৭২ হাজার ৯১৩ আমেরিকান ডলার ও ২৬ হাজার ৭৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

ইডি আরও জানিয়েছে, জ্যাকুলিন ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার সময় নিজে থেকে ভুল তথ্য পেশ করে আসছিলেন। যাতে তদন্তকে বিভ্রান্ত করা যায়। তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রকৃত নাম জানেন সে কথা অস্বীকার করেছিলেন। যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে তিনি মিথ্যা বলছেন।

একসময় সুকেশ চন্দ্রশেখর ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। জানা গেছে, প্রেমিকাকে দামি দামি উপহারও দিয়েছেন সুকেশ। তারপরই ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় নাম জড়ায় সুকেশের। গত দুবছর ধরে জেলবন্দি তিনি। তবে জেলে থেকেই বিভিন্ন সময় জ্যাকুলিনের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন।