বুধবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
 শিরোনাম
জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে শতাধিক গুম-খুনের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১ বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালাল ও প্রতারণামুক্ত ব্যবস্থা গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার টিভিতে নির্বাচনি প্রচারে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ ইসির রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল চালিকাশক্তি ডিজিটাল রূপান্তর : তৈয়্যব পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন করলেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার প্রবাসী ও সরকারি কর্মচারী বাণিজ্য সহযোগিতা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা–দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন ২০০ পর্যবেক্ষক: ইসি সচিব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ নতুন এজলাস কক্ষ উদ্বোধন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের বিদায়ী সংবর্ধনা আগামীকাল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

হাইকমিশনের মৈত্রী হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ মঙ্গলবার আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং সকলের সংহতি ও উপস্থিতির প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে এখানে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই দিনটি অনেকের জন্য শোকের, আবার অনেকের জন্য পরম আনন্দের। আমরা এখানে এসেছি উদযাপন করতে, স্মরণ করতে, স্বীকৃতি দিতে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে।’

আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইকমিশনার তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ‘বীরাঙ্গনাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। এ সময় তিনি তাদের ১৯৭১ সালের মহান আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ অনেকগুলো ফ্রন্টে লড়া হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি সে সময় সাধারণ ভারতীয়দের মানবিকতা ও সহমর্মিতার কথাও স্মরণ করেন।

হাইকমিশনার মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের কূটনীতিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন এবং ভারতীয় সামরিক নেতৃত্বের বীরত্বের কথা শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করেন। 

১৯৭১ সালের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং এর মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাংলাদেশিদের হৃদয়ে অটুট থাকবে।’

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে ‘গভীর ও বহুমুখী’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি আগামী দিনে আস্থা, মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলা গান ও নৃত্যের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়, যা সন্ধ্যায় উপস্থিত অতিথিদের মাঝে বিজয়ের আনন্দকে স্মৃতির আবহে রাঙিয়ে তোলে।