পারমাণবিক অস্ত্র মহাকাশে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া। আর এর মাধ্যমে রাশিয়া নাকি মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করে স্যাটেলাইট ধ্বংসের ক্ষমতা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে পাওয়া এমন খবরে সৃষ্টি হয় উদ্বেগের। তবে রাশিয়ার মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র রাখার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই বলে ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার দাবি, মস্কো কেবল যুক্তরাষ্ট্রের মতোই মহাকাশ সক্ষমতা তৈরি করেছে।
এর আগে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস দাবি করেছিল, রাশিয়া একটি ‘সমস্যাজনক’ অ্যান্টি-স্যাটেলাইট অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করেছে, যদিও এই ধরনের অস্ত্র এখনও তেমন কার্যকর নয়। এরপর মঙ্গলবার পুতিন এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ চুক্তি লঙ্ঘন করবে, তবে অস্ত্রটি পারমাণবিক সক্ষমতা-সম্পন্ন কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের ‘আউটার স্পেস’ চুক্তির আওতায় পৃথিবীর কক্ষপথ বা মহাকাশে ‘পরমাণু অস্ত্র বা অন্য যে কোনও ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ স্থাপন বা ‘অন্য যে কোনও উপায়ে আউটার স্পেসে অস্ত্র’ স্থাপন করা নিষিদ্ধ। এই চুক্তিটিতে রাশিয়াসহ ১৩০টিরও বেশি দেশ স্বাক্ষর করেছে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির কারণে একাধিক আন্তর্জাতিক সামরিক চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা তাদের এই উদ্বেগ সম্পর্কে রাশিয়ানদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হওয়ার চেষ্টা করবে।
এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমাদের অবস্থান বেশ পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ: আমরা সবসময়ই মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিরোধিতা করে আসছি এবং সেই অবস্থানেই রয়েছি। এর বিপরীতে, আমরা এই ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্ত চুক্তি মেনে চলার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
