শনিবার, নভেম্বর ৮, ২০২৫
 শিরোনাম
১৯৭৫ সালের বিপ্লব ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে সৃষ্টি হয়েছে: আসিফ মাহমুদ সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে দেশে পালিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুক্তি পেলো জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজার নেত্রকোণায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো হাজংদের দেউলী উৎসব ভোটকেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানতে চেয়েছে ইসি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নবম দিনের শুনানি চলছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে ডুরান্ড লাইন সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে বসছেন ট্রাম্প বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা দেবে আয়ারল্যান্ড

মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি!

মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি!

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার একটি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে জান্নাতুল বাকি কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রফিক কঙ্কাল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মধ্যরাতে জান্নাতুল বাকি কবরস্থান থেকে দুর্বৃত্তরা কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এর আগেও এই কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে কবরস্থানে এক ব্যক্তি তার মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করতে আসেন। এ সময় কবরস্থানের অনেকগুলো কবর খোঁড়া দেখতে পান এবং মৃত মানুষের হাড় (কঙ্কাল) কবরস্থানের চারপাশে দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন কবরস্থানে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেন।

জান্নাতুল বাকি কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রফিক বলেন, মাস ছয়েক আগে উপজেলার বরংগাইল এলাকার করিম ব্যাপারীর ছেলে মারা যায়। আজকে তার স্ত্রী ছেলের কবর জিয়ারত করতে সকালের দিকে কবরস্থানে আসেন। এরপর তার মাধ্যমেই জানতে পারি কবরস্থানের অনেকগুলো কবর খোঁড়া হয়েছে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কবরস্থানে গিয়ে দেখি ২২টির মতো কবর খুঁড়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে আটটি কবর পুরোপুরি খোঁড়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই আটটি কবর থেকে দুর্বৃত্তরা কঙ্কালগুলো চুরির করেছে। প্রত্যেকটি কবর খোঁড়ার পর আবার মাটি দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে। কবরের মাটিগুলো যে আলগা তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কতগুলো কঙ্কাল চুরি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, কঙ্কাল চুরির ঘটনা শুনার পর পরই ওই কবরস্থানে গিয়ে আটটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাই। তবে বাকি কবরগুলোও আংশিক খোঁড়া ছিল। এখন নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না কতগুলো কঙ্কাল চুরি হয়েছে।

এ বিষয়ে শিবালয় থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ সরকার বলেন, প্রথমে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারি ওই কবরস্থান থেকে ১৩ থেকে ১৪টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। তবে সরেজমিনে আমি এবং আমার ঊর্ধ্বতন স্যার ওই কবরস্থান পরিদর্শন করেছি। সেখানে কবরস্থান কমিটির লোকজনসহ স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। তবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, একটি কবরের কঙ্কাল মিসিং হতে পারে। কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।