গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর সামরিক আগ্রাসনের জবাবে ইসরাইলে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। যার জবাবে লেবাননে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সেই থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে উভয় পক্ষেরই বহু হতাহত ও অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এক বিবৃতিতে রকেট হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোষ্ঠীটি জানায়, তারা ইসরাইলের আইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১তম ডিভিশনের ৩য় পদাতিক ব্রিগেডের সদর দফতরে কয়েক ডজন ‘কাতিউশা’ রকেট ছুড়েছে।
মূলত সম্প্রতি দক্ষিণ লেবাননের শ্রীফা, ওদাইসেহ ও রাব তলাতিনে হামলাসহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ও বেসামরিক বাড়ি-ঘরে চালানো ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, ‘আইন জেইটিম’ অঞ্চলে লেবানন থেকে ছোড়া ৩৫টি রকেট শনাক্ত করা হয়েছে। এতে এক নারী ও এক কিশোরী নিহত হয়। আহত হয় আরও ছয়জন।
জবাবে বুধবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ৪০টি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের ছোড়া রকেটগুলো সীমান্তের কাছে আইতা আশ শাব, রামিয়া, জাবাল বালাত ও খালেট ওয়ার্দা নামে কয়েকটি গ্রামে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত গুদাম, অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ২০০তম দিনে গড়ায়। এদিন উত্তর গাজার বেইত লাহিয়াসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এতে নতুন করে অনেকেই হতাহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৬২ জনে। আহত ৭৭ হাজার ২২৯ জন।
