বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
 শিরোনাম
হাইকোর্ট নির্দেশ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিবন্ধন দিতে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা বিএনপি নেতা মিজানুরের জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলার জামিন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ, মতবিনিময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব পাস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো : নাহিদ শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : ড. ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা জারি সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জাপানের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের প্রতি

তাহসান প্রসঙ্গে মিথিলার নতুন কথা

তাহসান প্রসঙ্গে মিথিলার নতুন কথা

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রাশিদ মিথিলা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজারের মুখোমুখি হন তিনি। কথা বললেন তাহসানের সঙ্গে বন্ধুত্ব, সৃজিতের স্ত্রী আর মেয়ে আয়রাকে নিয়ে। 

বিচ্ছেদের পরও নতুন করে সম্পর্ক। তাহসানের সিরিজ মুক্তি পাওয়া নিয়ে মিথিলা বলেন, ২০১৬ সালের পর আমরা আর কাজ করিনি। ২০১৭ সালে আমাদের বিচ্ছেদ হয়। এত বছর পর কাজ করলাম। এ নিয়ে চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলো। 

তিনি বলেন,  নানা কথা শুনতে হচ্ছে— টাকার জন্য মিথিলা-তাহসান একসঙ্গে কাজ করল, অথচ বাচ্চার জন্য একসঙ্গে থাকতে পারল না! লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভালো আছি। আমাদের যখন বিচ্ছেদ হয় আয়রার বয়স মাত্র এক বছর। ওকে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরেছি। বাড়ির সাহায্য পেয়েছি। তাহসানের কাছে বাচ্চাকে রেখে বাইরে গেছি। কর্মসূত্রে যখন বাইরে যাচ্ছি, তখনো আমি আয়রাকে সঙ্গে নিয়ে গেলে কাজের জায়গা থেকে ওরা আপত্তি করেনি। 

তিনি আরও বলেন, আফ্রিকায় একটা কথা আছে— ‘একটা বাচ্চাকে বড় করতে পুরো গ্রামের প্রয়োজন’। এটাই সত্যি। আমি বলতে চাচ্ছি— বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে দাদা-দাদি, শাশুড়ি ও বন্ধু সবার প্রয়োজন হয়। 

মিথিলা বলেন, দর্শকরা ভাবছেন, ২০১৬-এর পর ২০২৪-এ মিথিলা আর তাহসানের দেখা হলো। এটা তো না, আমাদের তো প্রতিদিনই কথা হয়। ব্যাপারটা ও রকম নয় যে বহু বছর পর দুজনের দেখা হলো, আর পেছনে মিউজিক বাজছে, তা তো নয়।

বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক রাখা স্বাভাবিক কিনা—এমন প্রশ্নে মিথিলা বলেন, সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবার আগে। এটাই উচিত। আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম— এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে।

তিনি বলেন, আমি আর তাহসান ১৪ বছর একসঙ্গে থেকেছি, ঘরসংসার করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেছি। দুজন দুজনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দুজনের কাছে সবার আগে।

আয়রা তোমাদের দুজনের কাছে সবচেয়ে আগে হলে সৃজিত—এমন প্রশ্নে মিথিলা বলেন, ও সবটাই জানে। বাংলাদেশে গেছে। আমার পরিবারকে দেখেছে। তাহসানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দেখেছে। বিয়ের মতো সম্পর্ক হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কারণ থাকে, সৃজিত সব কিছু জেনেই আমাকে গ্রহণ করেছে। 

তা ছাড়া আয়রার সঙ্গে সৃজিতের চট করে বন্ধুত্ব হয়, আর আয়রা সৃজিতকে ‘আব্বু’ বলেও ডাকে বলে জানান মিথিলা। সৃজিত আব্বু, তাহলে তাহসানকে—এমন প্রশ্নে মিথিলা বলেন, ‘বাবা’। আর এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আমি মিথিলা।